স’হবা’সের পরে দু’জনেরই উচিত কমপক্ষে এক পোয়া গরম দুধ, একরতি কেশন ও দুই তোলা মিশ্রি সংযোগে সেবন করা। স’হবা’সে কিছু শক্তির হ্রাস হ’তে পারে। এতে করে কিঞ্চিৎ পূরণ হয়।
অন্যথায় স’হবা’স করা উচিত নহে। এই কারণেই মনীষীরা মাসানে- একবার রতিক্রিয়া ব্যবস্থা করে দেন। যাতে উপরোক্ত সামগ্রীর যোগাড় করতে গরীব বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের পক্ষেও ক’ষ্টকর না হয়।
পুষ্টিকর খাদ্য না খেলে পু’রুষ অচিরেই শক্তিহীন হ’য়ে পড়ে ও তার কর্মশক্তি লোপ পায়।অত্যধিক মৈথুনের জন্য হজমশক্তি লোপ পায়। ফলে অম্ল, অজীর্ণ প্রভৃতি নানা প্রকার রো’গ দেখা দেয়।
না’রীর যো’নি পরিচিতি ও পূর্ণ যৌ’ন তৃষ্ণা
যো’নি (ইংরেজি: Vagina – ভ্যাজাইনা; মূলতঃ লাতিন: উয়াগিনা) হলো স্ত্রী যৌ’নাঙ্গ, যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ফাইব্রোমাসকুলার নলাকার অংশ। মানুষ ছাড়াও অমরাবিশিষ্ট মেরুদ’ণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রা’ণীতে, যেমনঃ ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি, মনোট্রিম ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে যো’নি পরিদৃষ্ট হয়। স্ত্রী কীটপ্রত্যঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদ’ণ্ডী প্রা’ণীরও যো’নি আছে, যা মূলতঃ ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত। লাতিন বহুবচনে যো’নিকে বলা হয় vaginae – উয়াগিনাই (ইংরেজি উচ্চারণে ভ্যাজাইনি)।
যো’নির গঠন
মানুষের যো’নি সারভিক্স থেকে ভালভা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নমনীয় ও মাংসল নালী।শ’রীরভেদে পার্থক্য হলেও সাধারণত একটি অনুত্তেজিত যো’নির দৈর্ঘ্য সামনের দিকে ৬ থেকে ৬.৫ সে.মি. (২.৫ থেকে ৩ ইঞ্চি) এবং পেছনের দিকে ৯ সে.মি. (৩.৫ ইঞ্চি)।যৌ’ন উ’ত্তেজনার সময় যো’নি দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ উভয় দিকেই বৃ’দ্ধি পায়।এমত নমনীয়তার ফলেই এটি যৌ’নমি’লন ও স’ন্তান জন্মদানের সময় সম্প্রসারিত হয়। যো’নি, সুপারফিকাল ভালভা ও জরায়ুর গভীরের সারভিক্সকে সংযুক্ত করে।
যদি একজন ম’হিলা সোজা হয়ে দাঁড়ান তবে যো’নির শেষপ্রান্ত সামনে-পেছনে জরায়ুর সাথে ৪৫ ডিগ্রীর বেশী কোণ উৎপন্ন করে। যো’নির শেষপ্রান্তটি ভালভার একটি কডাল প্রান্ত। এটি মুত্রনালীর পেছনে অবস্থিত। যো’নির উপরের এক চতুর্থাংশ রেকটোউটেরিন পাউচ দ্বারা মলাধার থেকে পৃথক। যো’নির সদর অংশের নাম মন্স ভেনেরিস। ভালভার ভেতরের দিক সহ যো’নির রং হালকা
গোলাপী এবং এটি মেরুদ’ণ্ডী প্রা’ণীতে সবচেয়ে বেশি মিউকাস ঝিল্লী বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অঙ্গ। যো’নির বাকি তিন চতুর্থাংশ অঞ্চল উঁচু-নিচু অংশের দ্বারা সৃষ্ট ভাঁজে পরিপূর্ণ, এই ভাঁজকে রূগী বলে। যো’নির পিচ্ছিলতা বার্থোলিনের গ্রন্থি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি যো’নির প্রবেশ মুখে এবং সারভিক্সের কাছে অবস্থিত একটি গ্রন্থি। যৌ’নমি’লনের সময় প্রয়োজনীয় পিচ্ছিলকারক তরল ক্ষরিত করার মাধ্যমে এটি লিঙ্গপ্রবেশজ্বনিত ঘর্ষণ হ্রাসে ভূমিকা রাখে। কোনোরকম গ্রন্থির সম্পৃক্ততা না থাকলেও যো’নির দেয়াল আর্দ্রতা ছড়ায়। প্রতি মাসে ডিম্বক্ষরণের সময় সারভিক্সের মিউকাস গ্রন্থিগুলো বিভিন্ন রকম মিউকাস ক্ষরণ করে। এর ফলে যো’নীয় নালিতে ক্ষারধর্মী অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয় এবং এটি যৌ’নমি’লনের মাধ্যমে প্রবি’ষ্ট পু’রুষোর শুক্রাণুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
যো’নির ভ্যাজাইনা ওয়াল
না’রী ও পু’রুষের সংযুক্ত রতিক্রিয়ায় উভয়ের যে চ’রম উল্লাস হয় তার অধিকাংশ নির্ভর করে মন ও শ’রীরের ও’পর।
মনস্তত্ত্বের দিক দিয়ে বলা যায় না’রী ও পু’রুষের মন পরস্পরের দিকে যথেষ্ট আ’কৃষ্ট থাকলে অর্থাৎ উভয়ের ভালবাসা পরস্পরের প্রতি প্রবল হলে এই যৌ’ন স’ঙ্গমের সূখ খুব উচ্চস্তরের হয়।
কিন্তু দেহাংশের ও’পরেও এই সুখ কোধ অনেকটা নিভর করে। কেননা পু’রুষের পু’রুষাঙ্গ না’রীর যো’নির ভেতর প্রবেশ করে ঘর্ষণ করলে পু’রুষের বীর্যপাত ঘটে এবং সেই সময়ই পু’রুষের সুখ সর্বোচ্চ মাত্রায় ঘটে। না’রীরও যো’নি ঘর্ষণে ও তথা থেকে রস স্খলনেই অধিক মাত্রায় সুখ অনুভূত হয়।
সুতরাং পু’রুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য ও না’রীর যো’নির বিস্তারের ও’পরেই না’রীর সুখ বোধ নির্ভর করে।
অন্তস্থিত যো’নি : এই অংশ বাইরে থেকে দেখা যায় না। এমনকি সজো’রে প্রসারিত করলেও বাইরে থেকে এই রন্ধ্রটি স্পস্ট দৃষ্ট হয়। এর নমনীয় মাংশপেশী গায়ে গায়ে লেগে থাকে বলে, বাইরে থেকে অ’বরুদ্ধ পথ মনে হয়। এর উপরে অংশ জরায়ুমুখের সাথে যুক্ত থাকে। অবস্থানের বিচারে যো’নি মুত্রনালীর পিছনে এবং মলদ্বারের সামনে অবস্থিত।
যো’নির উপরের এক চতুর্থাংশ রেকটোউটেরিন পাউচ দ্বারা মলাধার থেকে পৃথক থাকে। যো’নিদ্বারের ভিতরের অংশের রং হাল্কা গোলাপী। এর ভিতরের পুরোটাই মিউকাস ঝিল্লী দ্বারা গঠিত। যো’নির অভ্যন্তরের তিন চতুর্থাংশ অঞ্চল উঁচু-নিচু ভাঁজে পরিপূর্ণ,
এই
রুগি (rugae) বলে।
যো’নির পিচ্ছিলতা বার্থোলিনের গ্রন্থি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই গ্রন্থি যো’নির প্রবেশ মুখে এবং জরায়ু-মুখের কাছে অবস্থিত। যৌ’নমি’লনের সময় প্রয়োজনীয় পিচ্ছিলকারক তরল ক্ষরিত করার মাধ্যমে এটি লিঙ্গপ্রবেশ জ্বনিত ঘর্ষণ হ্রাসে ভূমিকা রাখে এবং একই যৌ’ন উ’ত্তেজনা বৃ’দ্ধিতেও সহায়তা করে। প্রতি মাসে ডিম্বক্ষরণের সময় জরায়ুমুখের মিউকাস গ্রন্থিগুলো বিভিন্ন রকম মিউকাস ক্ষরণ করে। এর ফলে যো’নীয় নালিতে ক্ষারধর্মী অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয় এবং এটি যৌ’নমি’লনের মাধ্যমে প্রবি’ষ্ট পু’রুষোর শুক্রাণুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
যো’নিমুখ জন্মগত ভাবে যোজক কলার একটি পাতলা পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকে। এই পর্দাকে বলা হয় যো’নিচ্ছদ বা সতীচ্ছদ। একসময় ধারণা ছিল পু’রুষের সাথে স’ঙ্গম ছাড়া বা কোনো অপদ্রব্য প্রবেশ ছাড়া এই পর্দা ছিঁড়ে যায় না। এই পর্দা অক্ষুণ্ণ থাকা’টা সতী না’রীর লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু বাস্তবে নানা কারণে এই পর্দা ছিন্ন হতে পারে। ঘোড়ায় চড়া, সাইকেল চালনা, ব্যায়াম চর্চা ইত্যাদির কারণে এই পর্দা ছিড়ে যেতে পারে।
বহিঃস্থ যো’নি : যো’নি দ্বার থেকে শুরু হয়ে যো’নি নালীর বাইরে বিস্তৃত অংশকে বহিঃস্থ যো’নির ভিতরে ধরা হয়। এই অংশটিকে বলা হয় ভালভা (valva) বলে। ভালভা অনেকগুলো ছোটো অংশ নিয়ে তৈরি। এই অংশগুলো হলো
যো’নিমণ্ডপ : মন্স পিউবিস বা যো’নীমণ্ডপ না’রীদেহের নিম্নাঙ্গের একটি নির্দ্দিষ্ট এলাকা মানব অঙ্গসংস্থানবিদ্যায় এবং সাধারণ স্ত’ন্যপায়ী প্রা’ণীতে পিউবিক অস্থির, পিউবিক সিমফাইসিস সংযোগের উপর মেদ কলা জমে থাকা উঁচু ঢিপির (mound) মতো অংশটিকে “মন্স পিউবিস” বা “যো’নীমণ্ডপ” বলে। এটি ল্যাটিন শব্দ pubic mound থেকে এসেছে, এছাড়া এটি মন্স ভেনেরিস (ল্যাটিন mound of venus) নামেও পরিচিত। মন্স পিউবিস ভালভার ও’পরের অংশ গঠন করে।
মন্স পিউবিসে আকার সাধারণত শ’রীরের হরমোন ক্ষরণ ও মেদের পরিমাণের ও’পর নির্ভর করে। বয়ঃসন্ধির পর এটি প্রসারিত হয়, এর ও’পরভাগে অংশ চুলে ঢেকে যায়, যা যৌ’নকেশ নামে প
মানুষের মন্স পিউবিস যে কয়েকটি অংশে বিভক্ত তার নিম্নভাগে আছে বৃহদষ্ট, এবং অন্য পাশে হলরেখার (লাঙ্গল ফলার দাগ) মতো অংশ, যা যো’নীচিরল নামে পরিচিত। ক্লেফট অফ ভেনাস যে সকল অংশ পরিবেষ্টন করে রেখেছে সেগুলো হলো: নিম্নোষ্ঠ, ভগাঙ্কুর, যো’নির প্রবেশদ্বার, এবং ভালভাল ভেস্টিবিউলের অন্যান্য অংশ। মন্স ভেনেরিস-এর মেদ কলা ইস্ট্রোজেন ক্ষরণে প্রতিক্রিয়াশীল, যা বয়ঃসন্ধি শুরুর সময় একটি স্বতন্ত্র উঁচু অংশের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এটি লেবিয়া মেজরার সামনের অংশে, পিউবিক অস্থি থেকে সরে যায়।
সংগ্রিহিত,,